প্রকাশিত: ০১/০৪/২০১৮ ৭:০৬ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৪৪ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট ::
বর্ষা কালে পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর ভুমিধস হতে দেখা যায়। আর এবার সে সকল পাহাড়ি এলাকায় উন্মুক্ত স্থানে গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। কক্সবাজারের উখিয়ায় যেখানে রোহিঙ্গা ক্যাম্প রয়েছে সেখানে ভুমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। রোহিঙ্গাদেরকে ভুমিধসের হাত থেকে বাঁচাতে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশেপাশে যেসব স্থানে ভুমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে একধরনের ঘাস চাষ করেও আলগা মাটিকে শক্ত করা হবে। এই ধরনের ঘাসকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘বিন্না’ ।
ইউএনএইচআর এবং আইওএম- এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকার বিন্না চাষের এই প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছে। বিন্না চাষের মাধ্যমে ভুমিধস অনেকাংশেই রোধ করা যাবে বলে জানিয়েছেন বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ তালাত।
কুতুপালং, উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে এই বিন্না চাষ করণ প্রকল্পের আওতায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ব্রাক, অ্যাকশন এইড, ড্যানিশের মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওরাও ঘাস চাষ প্রকল্পে সহায়তা করবে।
বিন্না ঘাস মূল এবং কাণ্ড দিয়ে মাটি আকড়ে ধরে মাটিকে ক্ষয় এবং ধসের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। এই ঘাস মাটি থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় এবং মাটির গভিরে এই ঘাসের মূল ৭-১৩ ফুট পর্যন্ত প্রবেশ করে। ভারতীয় বংশোদ্ভুত এই ঘাস এই মহাদেশের অনেক দেশেই চাষ করা হয়ে থাকে। বিন্না ঘাস শেকড় দীর্ঘ হওয়ায় পাহাড়ের ক্ষয় রোধ করবে। উপকূল, নদী ও খাল পাড় এবং চরাঞ্চলে ভাঙন ঠেকাবে। পানি ও মাটির বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করবে ৭০-৯০ শতাংশ।
সুতরাং এই বিন্না চাষ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ভুমিধস থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প বাঁচানোর জন্য এই প্রকল্প যে খুব কার্যকর হবে সে ব্যাপারে উদ্যোক্তারা যথেষ্টই আশাবাদী।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...